বিয়ে নিয়ে প্রত্যেকটা মেয়ের মনেই থাকে অনেক স্বপ্ন। সব মেয়েই চায় এই বিশেষ দিনে তাকে পার্ফেক্ট লাগুক। বউ সাজে তাকে দেখে অতিথিরা মুগ্ধ হবে এমন প্রত্যাশা নেই এমন মেয়ে হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাইতো বিয়ের আগে মেয়েরা সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে পার্লারে, নখ থেকে চুলের ডগা সব হওয়া চাই নিখুঁত। মসৃণ ত্বক, ঝলমলে চুল, পার্ফেক্ট মেক-ওভার, পার্ফেক্ট আউটফিট! বিয়ের দিনে তাকে যেন সব চেয়ে রূপবতী লাগে এই চাওয়া সকলের। মোট কথা বিয়ের অনেক আগে থেকেই মেয়েরা নিজেদের মাথায় ছবি এঁকে রাখে সে নিজেকে এই বিশেষ দিনে কেমন করে দেখতে চায়।

সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীদের সৌন্দর্যের প্রতি ভীষণ দুর্বলতা আছে। সাজসজ্জা ছাড়া নারী যেন অসম্পূর্ন। নিজেকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার বিয়ের অন্য সব আয়োজনের মতি গুরুত্ব পায়। ইদানীং পুরুষেরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। নিজের যত্নে সমানভাবে সচেতন নারী-পুরুষ উভয়েই। বিশেষ দিনে নিজেকে অপরূপ দেখাতে সব চেয়ে বেশি জরুরী একটি পার্ফেক্ট ব্রাইডাল মেক-ওভার। মেক-ওভার যদি মনের মতো না হয়, তবে দিনটিই মাটি! তাই পার্ফেক্ট মেক-ওভার করতে মেয়েরা ছুটে স্বনামধন্য পার্লারগুলোতে। এসব পার্লারের সিরিয়াল পাওয়াও কিন্তু আজকাল বাড়তি যন্ত্রণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিয়ের সিজনে পার্লারগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। পছন্দসই মেকআপ আর্টিষ্টের শিড্যুল পাওয়া তো আরেক চ্যালেঞ্জ। আর আকাশচুম্বী খরচ তো আছেই। যদিও এসব সামলে নেওয়া যায় তবে থেকে যায় যান্ত্রিক জীবনের যানজটের ধকলের কাছে সবাই নিরুপায়। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমে ঘেমে-নেয়ে সাধের মেক-ওভারের বারোটা বাজার ভয়টাও কিন্তু থেকেই যায়! তারপর আছে ঠিক সময়ে ভেন্যুতে না পৌঁছাতে পারার ভয়!

তবে বিয়ের দিনে কিন্তু বর-কনের নানারকম দায়িত্ব, অনুষ্ঠান, রেওয়াজ থাকে। বাড়ি ভরা মেহমান, সামাজিকতা আরও কতো কি! এই সবকিছু সামলে পার্লারে যাওয়াও কিন্তু বিরাট এক ঝক্কির ব্যাপার। বিয়ের সাথে যেহেতু ইমোশন জড়িত, নিজের চেনা-পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে অন্য একটি সম্পূর্ন অচেনা পরিবেশে যাওয়ার ভয়টাও কাজ করে। আর কনে যদি কর্মজীবি হয়ে থাকেন তিনি চাইবেন রিলাক্সে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করতে।
কার না ইচ্ছা করে স্পেশাল ফিল করতে? আর দিনটা যদি হয় বিয়ে তবে তো কথাই নেই। যে মানুষটাকে ঘিরে এত আয়োজন সে চাইতেই পারে সর্বোচ্চ কম্ফোর্ট। ভেবে দেখুন তো, বিয়ের এত ঝক্কি-ঝামেলায় যদি পার্লারে যাওয়ার ঝামেলাটা না থাকে? ঘরে বসেই যদি পেয়ে যান মনের মতো মেক-ওভার? খুব সহজ এবং স্বস্তিকর হয় না ব্যাপারটা?

ধরুন, আপনি আরাম করে শুয়ে আছেন আপনার বিছানায়, কেউ কোমল হাতে সাজিয়ে দিচ্ছে আপনাকে। ঠান্ডা মাথায়, রিলাক্স করতে করতে, নিজের কম্ফোর্ট জোনে, পছন্দের সাজে প্রফেশনাল হাতে সাজলেন, নিতে হলো না বাড়তি কোনো চাপ। যাতায়াতের সমস্যা নেই, রাস্তার যানজট নেই, গরম নেই, সিরিয়াল মেইন্টেন করার ঝক্কি নেই, সময় নিয়ে কোনো ঝামেলা নেই, ঘরে বসেই হয়ে গেলো এক্সপার্ট বিউটিশিয়ানের হাতে পার্ফেক্ট ব্রাইডাল মেক-ওভার। ভাবতেই ভালো লাগছে না?

Home-salon

অনলাইনে খাবার, পোশাক, গহনাসহ আরও অনেক কিছুই অর্ডার করে অভ্যস্ত আমরা অনেকেই। সময় এবং টাকা দুটোই বাঁচে এতে। তাই বলে বিউটি পার্লারের সেবা বাসায় বসেই? অবিশ্বাস্যই বটে। এই অবিশ্বাস্য সার্ভিস  সম্ভব করেছে Sheba.xyz! Sheba.xyz -এ রেজিস্টার্ড আছেন দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিউটি এক্সপার্টদের টিম। যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো বিউটি এক্সপার্টদের প্রোফাইল চেক করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রোফাইল চেক করা শেষে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি কার দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় বউ সাজতে চান। সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষে কনফার্ম করবেন। Sheba.xyz সার্ভিসে কল করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে যাবে দক্ষ বিউটিশিয়ান। আপনার পছন্দ অনুযায়ী সময়ে, আপনার নির্ধারিত স্থানে গিয়ে বিউটি এক্সপার্ট আপনাকে সাজিয়ে দিবেন আপনারই মনের মতো করে। যানজট পেরিয়ে, ঘাম ঝরিয়ে বিউটি পার্লারে দৌড়ানোর ঝামেলা এই শেষ হলো বলে! বিয়ের সিজনে পার্লারে সিরিয়াল না পাওয়ার ব্যাপারটা তো আমরা সকলেই জানি, এখন ঘরে বসেই যে কোনো দিন নিতে পারেন এই সেবা। মোট কথা আপনি চাইলে আপনার ঘরেই কিছুক্ষণের জন্য বিউটি পার্লার চলে আসবে, কষ্ট করে আর বিউটি পার্লারে যেতে হবে না।

তবে একটা খটকা থেকেই যায়, নিজের বাড়িতে অপরিচিত কাউকে ডাকবেন, এর নিরাপত্তা কে দেবে? বিয়ের সময় বাড়িতে কতো মানুষের আনাগোনা, টাকা পয়সা থেকে গয়নাসহ আর কতোকিছুর নিরাপত্তার ব্যাপার! এই সময় নিরাপত্তার প্রশ্ন মনে আসা খুব স্বাভাবিক। আপনার মনের এই খটকা দূর করতে বলতেই হয়, Sheba.xyz -এ রেজিস্টার্ড সকল বিউটি এক্সপার্ট প্রফেশনাল এবং অথরাইজড। তাই Sheba.xyz -এর এই সেবা নিতে আপনার দ্বিধা করতে হবে না মোটেও। আপনার বিশেষ দিনে, আপনার বাড়িতেই বিউটি এক্সপার্টদের ডেকে নিয়ে, নিতে পারেন ব্রাইডাল মেক-ওভার। Sheba.xyz শুধু সার্ভিস নয়, নিরাপত্তা প্রদানের বেলায়ও সর্বোচ্চ যত্নশীল। তারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এই যান্ত্রিক কোলাহলপূর্ন জীবনে, আমরা সবাই প্রতিনিয়ত লড়াই করে চলেছি একটু সময়ের জন্য। নিজেদের একটু সময় দিতে হিমশিম খাই আমরা সবাই। জীবনটা একটা গণ্ডির ভেতর আটকে গেছে। নতুন কিছু করতে চাইলেই মাথায় সবার প্রথমেই আসে সময় আর খরচের ফ্লো চার্ট। “কিছু পেতে হলে কিছু হারাতে হবে” এই ভ্রান্ত ধারণায় আটকে গেছি যেন আমরা। কিন্তু এটা সত্যি, তাই বলেতো শখ-আহ্লাদ বাদ দিয়ে দেয়া যাবে না! ব্যস্ততার খাতিরে ছেড়ে দেয়া যাবে না নিজের অতি শখের ব্যাপারগুলো। সেই প্রস্তর যুগ থেকেই সমস্যা এসেছে আমরা সেটা  সমাধান করেছি। সমস্যা এসেছে বলে থেমে থাকিনি কোথাও। পৃথিবীতে সমাধান ছাড়া কোন সমস্যা নেই। আর এখন তো প্রযুক্তির কল্যাণে এরকম অনেক কিছুই দেখছি যা আজকে থেকে ২০ বছর আগেও মানুষ হয়তো ভাবতেও পারতো না। সমস্যা আসলে সমাধান করে ফেলতে হয় সময়ের প্রয়োজনে। এরই ধারাবাহিকতায় Sheba.xyz নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে জনজীবনের নিত্যদিনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে। রোজকার জীবনের সমস্যা গুলো সমাধান করে জীবনটা আর একটু বেশি সহজ করে তোলাই Sheba.xyz এর মূল লক্ষ্য।

Leave a comment