ভোলার ছেলে আরশাদ হোসেন ঢাকায় এসে পড়াশুনা শেষ করে চাকুরী করলেও তার উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্নকে বাস্তবে নিয়ে এসেছে প্রযুক্তি ভিত্তিক একটি সার্ভিস প্লাটফর্ম।

মাস্টার্স পাশ করে বিদেশী একটি ওষুধ কম্পানীর প্রতিনিধি হয়ে কাজ করেছেন কুমিল্লা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। উদ্যোক্তা হবার স্বপ্নে বিভোর আরশাদ আবারো ফিরে আসেন ঢাকায়, কারন তিনি মনে করেন রাজধানীতে থেকেই সম্ভব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। একটি ব্যাংকের মাঠ পর্যায়ে কাজ করতেন  কিছু দিন।

সম্প্রতি সেবা স্বপ্নবুননের সাথে আলাপচারিতায় আরশাদ তুলে ধরেন সেবার হাত ধরে উদ্যক্তা হওয়ার গল্প।

আরশাদের জীবন দর্শনের পুরোটাই ‘উদ্যোগ’ কেন্দ্রিক।  তিনি বলছেন, সব সময় স্বপ্ন ছিলো নিজে কিছু করার। প্রত্যেকটি স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যাকআপ দরকার। সেবাতে এসে আমি উদ্যোক্তা হয়েছি.

সবশেষে দেখা পেলেন একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যেটি উদ্যোক্তাদের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।  পেয়ে গেলেন স্বপ্নবুননের রাস্তা।  যোগ দিলেন দেশের সবচে বড় সার্ভিস মার্কেটপ্লেসে।  সেবা ডট এক্সওয়াইজেড ।  একজন নির্বাহী কর্মী হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করার।

গ্রাহক সমন্বয়ের কাজ করতে গিয়ে আরশাদ দেখেছেন বিভিন্ন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে আচার ব্যবহার। বাসা অফিস বদলে যারা কাজ করে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন্।  শ্রমিকদের কষ্টের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন “শিফটিং এর কাজটি অনেক কষ্টের। কিন্তু অল্প কিছু সমস্যার জন্য অনেক শ্রমিকরা বিল পাননা।  ঝামেলা হয়,”।

সার্ভিস প্লাটফর্মে বাসা এবং অফিস বদলের কাজটি যুক্ত হবার কথা উল্লেখ করে আরশাদ বলেন, “সেবাতে হোম শিফটিং সার্ভিসটি প্রথমে ছিলো। মাঝে কিছুদিন বন্ধ থাকে।  আদনান ভাইয়ের সাথে কথা বলার পড়ে আমি শিফটিং এর সার্ভিসটি চালু করতে আবারো উদ্যোগী হই। আদনান ভাইয়ের অনুপ্রেরনায় শুরু করি ‘প্যাক এন মুভ’  এর যাত্রা। আমার হোমশিফটিং এর পাশাপাশি প্যাকিংয়ের সেবাও দিয়ে থাকি,”

হোমশিফটিং অনেক প্রতিষ্ঠান কাজ করলেও কর্মীদের উপস্থাপনে ভুলে’র কারনে অনেক গ্রাহক কর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে।   আরশাদ বলছেন, আমি চিন্তা করলাম কর্মীদের আলাদা ড্রেস হবে। তাদেরকে ভালোভাবে সংগঠিত করতে পারলে অবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব। সত্যি তাই হলো। আমার প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা এখন কারো বাসায় গেলে বসতে বলে। চা খাওয়ায়। এইটাই প্রাপ্তি

বর্তমানে প্যাক এন মুভের সাথে যুক্ত আছেন ৭২ জন কর্মী যাদের কাজের তদারকী করেন ছয়জন সুপারভাইজার।  একটি অর্ডারে পাঁচ-থেকে ছয় জন কাজ করেন। মাসে সেবার মাধ্যমে ত্রিশ থেকে চল্লিশটি কাজ হয়। মাসে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার লেনদেন হয় প্রতিষ্টানটিতে।

“আমরা আমাদের সেবার মধ্যে নতুন কিছু নিয়ে আসছি। যেমন বেল্ট সিস্টেম। ফলে একজন কর্মীর মালামাল পরিবহনে কষ্ট কম হবে”। আরশাদ এখনও স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন সেবা ডট এক্সওয়াইজেড অনেক বড় হবে। সাথে সাথে প্রতিষ্ঠিত হবে একটি প্রশিক্ষন কেন্দ্র। যেখানে কর্মীরা সুযোগ পাবে নতুন কিছু জানার।   ##

Leave a comment