ঢাকায় এসে প্রথমে নির্মান শ্রমিকের কাজ করলেও এখন বাসা পরিবর্তনে আসবাব পরিবহণ করে মাসে দুই লাখ টাকার লেনদেন করছেন ভ্যানচালক খোরশেদ।  তার পরিচালনায় কাজ করেন বেশ কয়েকজন কর্মী। 

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এলাকায় আদি নিবাস ছেড়ে ঢাকায় এসে নির্মান শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন খোরশেদ।

সম্প্রতি সেবা স্বপ্নবুননের সাথে আলাপচারিতায় খোরশেদ তার জীবনের কষ্ট পেরিয়ে আনন্দের গল্পগুলো তুলে ধরেন।  তিনি বলেন,  “ প্রথমে বালুর কাজ করতাম।  ইট বালু  দশ পনেরো তলা পর্যন্ত উঠতাম।  বালির ট্রাকে কাজ করতাম,”।  তার চোখে মুখে ভেসে ওঠে কষ্টের পরে আনন্দ পাওয়ার অভিব্যাক্ত।

মাসের শেষ সপ্তাহে বাসার আসবার পরিবহনের কাজ বেশি থাকে। বাকি সময়টা ভ্যানে  মালামাল পরিবহণ করেন।  ফল বিক্রি করেন।

খোরশেদের গল্প শুনতে সেবা স্বপ্নবুননের প্রতিবেদক মিরপুরের অদূরে আলুব্দী গ্রামে তার বাড়িতে যায়।  বাসা পরিবর্তনের কাজ এখন নেই বলে বর্ষায় ভিজে পেয়ারা বিক্রি করছেন তিনি।  পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে বিকল্প পেশা রাখছেন। তবে তিনি মনে করেন, “বাসা চেঞ্জের কাজ বেশি হইলে আর এতো কষ্ট করতে হইতো না”

সেবার সাথে সংযুক্ত হন আরশাদ নামে এক ব্যবসায়ীর মাধ্যমে। তারও হোম শিফটিংইয়ের ব্যবসা আছে। মিরপুরে ভ্যান নিয়ে যাইতাম। তখন আপনাদের (সেবার) অফিস ছিলো ডিওএইচএস।  আমি সব এলাকায় কাজ করি। কাজ পেলে ঢাকার বাইরেও যাই।

নিজের “মাসে প্রায় লাখ দুই টাকার লেনদেন হয় কাজ রেগুলার থাকলে। মনে করেন পনেরোটা অর্ডার আসলে দশ-বারোটা লক করতাম।  কিছুদিন হলো কাজ কম। তাই অবসরে পেয়ারা বেচি,”

ঢাকায় বাবা মা, ভাই বোন সবাইকে নিয়ে বেশ আনন্দেই দিন কাটে খোরশেদের।  তবে কাজ করতে গিয়ে কিছু বিরূপ অভিজ্ঞতাও হয়েছে তার।

কাজ করে মজুরী না পাওয়ার কষ্টের কথা উল্লেখ করে খোরশেদ বলেন, “মিরপুরে একবাসার কাজে বিল পাইনাই। আলমারিতে ঘসা লাগছে বইলা টাকা দেয়নাই। সেবা থেকেও টাকা তুলতে পারেনাই।  বলেনতো, ভাত খাইতে গেলেওতো দুইটা ভাত নিচে পরতে পারে,” \

সেবার শুরু থেকেই যুক্ত আছেন বলে জানান খোরশেদ। তিনি বলেন, প্রথমে আমরা ফোনে অর্ডার পাইতাম। তখন অ্যাপ আসে নাই।  কয়েকবার ফোন করে সিউর হইয়া তারপর কাজে যাইতাম। এখনতো সব সহজ হইয়া গেছে।

নিজের কিছু বলার আছে কিনা, বলতেই তিনি জানান তার প্রত্যাশার কথা। “ সেবা থেকেও বলছিলো, লোন দেওয়ার কথা। দুই লাখ টাকা হইলে ব্যবসাটা গুছাইয়া নিতে পারতাম।  মনে করেন গাড়ীওয়ালা (পিকআপ) আটকাইয়া রাখতে গেলে টাকা লাগে। তাদের ও সব সময় কাজ থাকে না। তারপর কিছু জিনিসপাতি, ড্রিল মেশিন, কার্টুন কেনা লাগে।  প্রত্যাশার কথা জানাতে জানাতেই বলে ফেললেন, “ একটা অফিস নিতে পারলে ভালো অইতো”।

Sheba.xyz একটি সার্ভিস প্লাটফর্ম।  দৈনন্দিন জীবনের কাজকে সহজ করতে মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে সেবা ডট এক্সওয়াইজেড। গুগল প্লে থেকে থেকে ডাউনলোড করা যাবে সেবার অ্যাপ।

##

 

Leave a comment