ইফতার সেহরিতে কি খাবেন এবং কি খাবেন না

 

রোজা শরীরের জন্য উপকারি হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়  আমরা রোজা রেখে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ি, কেমন একটা অবসন্ন ভাব চলে আসে শরীরে। এটা হওয়ার কারণ কিন্তু রোজা না, বরং আমাদের সঠিক খাবার না খাওয়ার অভ্যাস । খুব যে বেছে বেছে খেতে হবে , এমন ও কিন্তু না। একটু সতর্ক থাকলেই আমরা রোজার মাসজুড়ে প্রাণবন্ত থাকতে পারি এবং সঠিক কাজের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি লাভের পথে এগিয়ে যেতে পারি। তাহলে আসুন খুব ঝটপট দেখে নেই সেহরি এবং ইফতারে আপনি যা যা খাবেন এবং যা খাবেন না –

 

সেহরিতে যা খাবেন

 

প্রোটিন : প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন ডিম খাবেন। এতে আপনার বেশ ভরপুর লাগবে । আর তা ছাড়া ডিম তো কতভাবেই রান্না করা যায়। এক এক দিন এক এক ভাবে রান্না করে বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্যকর মজাদার সেহরি।

 

আঁশযুক্ত খাবার : আঁশযুক্ত খাবার, বিশেষ করে ওটস, শাকশব্জি ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ আঁশজাতীয় খাবার আস্তে ধীরে হজম হয়, যার জন্য কোলেস্টেরল লেভেল এবং রক্তের সুগার লেভেল কমে আসে অনেকাংশে। এতে করে রোজা রেখেও আপনি এনার্জি পাবেন দিনভর।

 

ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন : দুধ, দই, মধু ইত্যাদি খেলেই চলবে। দই দিয়ে আপনি বিভিন্ন রকম ড্রিঙ্কস যেমন লাচ্ছি বানাতে পারেন, অথবা দুধ কলা বা স্ট্রবেরি দিয়ে মিল্কশেকও বানাতে পারেন। খেতে যেমন মজাদার হবে, আপনার শরীরও হাইড্রেট থাকবে সারাদিন।

 

সেহরিতে যা খাবেন না

 

শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট : সাদা চিনি, ময়দা জাতীয় খাবার, কেক, পেস্ট্রি ডোনাট ইত্যাদি মাত্র ৩/৪ ঘণ্টা আপনাকে এনার্জি দিবে এবং এরপর ক্লান্ত হয়ে পড়বেন।

লবনযুক্ত খাবার :  লবনে সোডিয়াম থাকে, যা ব্যাল্যান্স এর বাইরে চলে গেলে আপনার তৃষ্ণা পাবে খুব। লবন যতটা পারা যায় কমিয়ে খান, এ ছাড়াও লবনযুক্ত খাবার যেমন সল্টেড বাদাম, আঁচার, চিপস, সয়া সস ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

ক্যাফেইন : ক্যাফেইন খেলে আপনার ঘুম আসবেনা ঠিক মতন এবং শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও পাবে না। এতে করে আপনার মাঝে এক ধরণের অস্থিরতা দেখা দিবে এবং পানির তৃষ্ণা বেড়ে যাবে। তাই ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা, কফি , কোক ইত্যাদি সবসময় এড়িয়ে চলুন।

 

ইফতারে যা খাবেন 

 

বেশী বেশী পানি : যত বেশী পানি খাওয়া সম্ভব – খেতে থাকুন। চাইলে বিভিন্ন রকম ফলের জুস ও খেতে পারেন, এতেও অনেক পানি থাকি।

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার : খেজুর হচ্ছে পুষ্টির খনি। তাই খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙা চমৎকার একটি অভ্যাস।  এতে যেমন আপনি মুহূর্তেই এনার্জি পাবেন , সারাদিন রোজা রাখার পরও প্রাণবন্ত থাকবেন সারাদিন।

বাদাম :  বাদাম বিশেষ করে কাঠবাদাম বা এলমন্ড ইফতার হিসেবে দারুণ। বাদামে আছে প্রচুর পুষ্টি যা রোজার দিনে আপনার  জন্য খুব উপকারি হবে ।

শাক সবজি : শশা, লেটুস পাতা, গাঁজর ইত্যাদি শাক সবজি আপনার শরীরকে যেমন ঠাণ্ডা রাখবে, আপনার ত্বকও করে তুলবে উজ্জ্বল। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত শাকসবজি খাওয়াতে আপনি কনস্টিপেশনের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

 

ইফতারে যা খাবেন না

 

কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস : কোক-ফ্যান্টা ইত্যাদি কার্বোনেটেড ড্রিঙ্কস খাওয়া পুরোপুরি এড়িয়ে চলুন। এর বদলে ফলের জুস, লাচ্ছি ইত্যাদি খান।

অতিরিক্ত মিষ্টি / চিনি : মিষ্টি, চকোলেট যতটা পারা যায় এড়িয়ে চলুন কারণ এতে আপনার ওজন বেড়ে যাবে দ্রুত এবং শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি ও পাবেনা।

ভাজা পোড়া : এটা বেশ কষ্টসাধ্য হতে পারে কারণ রমজান মাসেই আমাদের চারপাশে বেগুনী পিঁয়াজুর ছড়াছড়ি থাকে। তবে এতে আমাদের মুহূর্তেই পেট ভরলেও কিছুক্ষণ পরেই শরীরে অবসন্ন ভাব চলে আসে। আর বাড়তি ওজন বৃদ্ধি তো আছেই।

 

সংযমের মাসে ভুরিভোজ এড়িয়ে চলাটাই বাঞ্ছনীয়। ভুরিভোজ করলে যে আপনি ভরপুর থাকবেন, এমনও কিন্তু নয়। উল্টো আপনার তৃষ্ণা বাড়বে, বাড়বে বাড়তি মেদ। তাই ভালো খাবার খান, সুস্থ থাকুন। ফলমূল, মধু, খাঁটি দুধ এই রোজাতে সেরা খাবার এবং এই সবগুলোই আপনি সেবা অ্যাপে অর্ডার করতে পারবেন। সেবা অ্যাপে অর্ডার করলেই খাঁটি মানের দুধ ফলমূল পৌঁছে যাবে আপনার ঘরে। এ ছাড়া আপনার প্রিয়জনদের ঘরেও রমজানের উপহার হিসেবে ফল দুধ মধু আজোয়া খেজুর পাঠাতে পারেন সেবা অ্যাপের মাধ্যমে। উপহার হিসেবে রমজান মাসে স্বাস্থ্যকর খাঁটি খাবারের চেয়ে ভালো উপহার আর কি হতে পারে !

এবারের রমজান আপনার  কাটুক প্রিয়জনদের সাথে বিশুদ্ধতায় ভালবাসায় ।

 

সেবা অ্যাপে ডাউনলোড লিঙ্ক : http://bit.ly/ShebaApp

আরও জানতে কল করুন : ১৬৫১৬

ভিজিট করুন সেবার ওয়েবসাইট : https://www.sheba.xyz/

Leave a comment