Car Repairing বা গাড়ি মেরামত করা একটি ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া আর তাই সঠিকভাবে Car Repairing করার জন্য বেশ কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। Car Repairing এর ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত তা আমরা অনেকেই জানিনা। তাই আজকের সেবা ব্লগে আমরা Car Repairing এ সময় যে বিষয়গুলো মাথায় রাখা উচিত তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

১. নির্ভরযোগ্য মেকানিক শপ বেছে নিন

Car Repairing এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নির্ভরযোগ্য মেকানিক শপ বা মেরামতের দোকান নির্বাচন করা। রিসার্চ করার মাধ্যমে আপনি Car Repairing এর জন্য একটি স্বনামধন্য বা ভালো কোম্পানি বেছে নিতে পারবেন। কাজের সার্টিফিকেট, গ্রাহকের রিভিউ, রেটিং ইত্যাদি সঠিকভাবে যাচাই করে তবেই একটি মেকানিক শপ নির্বাচন করতে হবে। Car Repairing এর ক্ষেত্রে মানসম্পন্ন মেরামত এবং একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতার জন্য একজন নির্ভরযোগ্য মেকানিক বা মেরামতের দোকান বেছে নেওয়া একান্তই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বাসায় বসে সার্ভিস পেতে sheba.xyz এর সহায়তা নিতে পারেন। 

২. খরচ যাচাই বাছাই করুন

Car Repairing এর ক্ষেত্রে যেহেতু অনেক খরচ হয় তাই মেরামতের আগে একাধিক দোকান বা মেকানিক থেকে খরচের বিষয়টি সম্পর্কে যাচাই বাছাই করে নিতে হবে। এতে করে Car Repairing এর ক্ষেত্রে কি পরিমান খরচ হবে এবং কোনো দোকানে আপনার কাছে অতিরিক্ত চার্জ করছে কিনা তা আপনি বুঝতে পারবেন। Car Repairing এর সময় গাড়িতে নানা ধরনের কাজ করতে হয়; কখনো পুরনো পার্টস পরিবর্তন করতে হয় আবার কখনো নতুন পার্টস যোগ করতে হয় আর এজন্যই খরচ তুলনামূলক ভাবে বেশি হয়ে থাকে। তবে আগে থেকে খরচ যাচাই বাছাই না করলে অসাধু মেকানিকরা আপনার কাছে আসল খরচ থেকে অতিরিক্ত চার্জ করতে পারে। তাই এ ধরনের হয়রানি এড়াতে গাড়ি মেরামতের পূর্বে খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে যাচাই করে নিতে হবে।

৩. গাড়ির সমস্যা বিস্তারিত ভাবে জানান

Car Repairing এর সময় অবশ্যই গাড়ির সব ধরনের সমস্যা মেকানিককে বিস্তারিত ভাবে জানানোর বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। আপনি গাড়ি কেন মেরামত করতে চাচ্ছেন, কি কি ধরনের সমস্যা আছে এ সকল বিষয় সম্পর্কে মেকানিককে বিস্তারিত জানাতে হবে এবং পাশাপাশি বুঝিয়ে বলতে হবে। মেকানিককে গাড়ির সমস্যা বুঝিয়ে বলা, এরপর তার প্রস্তাবিত সমাধান, সংশ্লিষ্ট খরচ ইত্যাদি সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আপনাকে Car Repairing এর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

৪. পুরনো পার্টস চেক করে নিন

গাড়ি মেরামতের সময় পুরনো পার্টসগুলো অবশ্যই চেক করে নিতে হবে কারণ অনেক অসাধু মেকানিক পুরনো পার্টসে সমস্যা না থাকলে তা পরিবর্তন করে দেয়। Car Repairing এর সময় পুরনো পার্টস পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে অবশ্যই সেগুলোর কন্ডিশন এবং পরিবর্তন করা জরুরী কিনা তা নিশ্চিত করে নিতে হবে। পুরনো পার্টসগুলো পরিবর্তন বা প্রতিস্থাপন করার পর নতুন পার্টস গুলোর পাশাপাশি পুরনো পার্টস গুলোও চেক করে নিতে হবে এবং সকল পার্টস ঠিক আছে কিনা তা নিশ্চিত করে নিতে হবে।

৫. ওয়ারেন্টি চেক করুন

Car Repairing এর সময় দোকানদার বা মেকানিক এর দেওয়া কাজ ও বিভিন্ন পার্টস এর ওয়ারেন্টি ঠিক আছে কিনা তা চেক করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ভালো মানের স্বনামধন্য মেকানিক বা কোম্পানিগুলোতে গাড়ি মেরামতের পর তাদের কাজের ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে এবং গাড়ি মেরামতের কাজে ব্যবহৃত তাদের বিভিন্ন নতুন পার্টসেরও ওয়ারেন্টি দিয়ে থাকে। এ সময় দোকানদার বা মেকানিক ওয়ারেন্টি দিয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে নিতে হবে এবং সঠিকভাবে ওয়ারেন্টি চেক করে তা বুঝে নিতে হবে। গাড়ি মেরামতের পর সেলস পরবর্তী সেবা পেতে অবশ্যই Car Repairing এর সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।

৬. ক্যাশ মেমো বুঝে নিন

Car Repairing এর আগেই সকল ধরনের খরচ সম্বলিত ক্যাশ মেমো বুঝে নেওয়া বা চেক করে নেওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। মেরামত শুরু হওয়ার আগেই এই ক্যাশ মেমো চেক করে নিতে হবে যেখানে শ্রমের মজুরি, বিভিন্ন পার্টসের খরচ সহ সকল ধরনের খরচ উল্লেখ আছে কিনা। আপনাকে এই ক্যাশ মেমো চেক করে বুঝে নিয়ে তারপরেই কাজ শুরু করার অনুমোদন দিতে হবে। এছাড়াও মেরামতের আগেই ক্যাশ মেমোতে তালিকাভুক্ত সকল ধরনের সেবা ও পার্টস সঠিকভাবে দেয়া হচ্ছে কিনা তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেক করে নিশ্চিত করে নিতে হবে। তাই এক্ষেত্রে ক্যাশ মেমো চেক করে নিশ্চিত করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৭. প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিন

Car Repairing এর সময় গাড়ির বিশেষ যত্ন নেওয়ার জন্য কি কি করা প্রয়োজন সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ নিয়ে নেওয়ার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। যদি মেকানিক অতিরিক্ত মেরামতের পরামর্শ দিয়ে থাকে তাহলে সে সকল জরুরী বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে। আবার মেকানিক বা দোকানের সকল প্রস্তাবিত অতিরিক্ত মেরামতের পরামর্শ প্রয়োজনীয় নাও হতে পারে তাই সকল বিষয় সম্পর্কে জেনে তা আপনার জন্য প্রয়োজন হলে তবেই মেরামতের অনুমোদন দিতে হবে। এছাড়াও মেরামত পরবর্তী প্রয়োজনীয় পরামর্শ বুঝে নিতে হবে এবং সম্ভব হলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত মেরামত করিয়ে নিতে হবে।

৮. টেস্ট ড্রাইভ করুন

Car Repairing এর পর সমস্যার সমাধান হয়েছে কি না তা যাচাই করার জন্য টেস্ট ড্রাইভ করে নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ি মেরামতের পর সকল ধরনের সমস্যা সমাধান হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য অন্তত একবার হলেও টেস্ট ড্রাইভ করতে হবে। টেস্ট ড্রাইভ করার পর যদি কোনো ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করেন তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে মেকানিক বা দোকানদারকে জানাতে হবে এবং সমস্যার সমাধান করে নিতে হবে। তাই Car Repairing এর পর টেস্ট ড্রাইভ করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।

Car Repairing বা গাড়ি মেরামতের সকল কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য তাই অবশ্যই এ সময় উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথা রাখতে হবে এবং এই টিপসগুলো অনুসরণ করতে হবে। আর কার রিলেটেড যেকোন সেবার জন্য sheba.xyz সার্ভিস চেক করুন। 

শেষ কথা

Car Repairing একটি সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল প্রক্রিয়া তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে একটি ইতিবাচক ও সন্তোষজনক ফলাফল পাওয়া সম্ভব। গাড়ি নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা ও ছোটখাটো সমস্যা গুলো নিজেই সমাধান করার মাধ্যমে ব্যয়বহুল মেরামত প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

Leave a comment