সার্ভিস সেক্টরের উদ্যক্তাদেরকে এক জায়গায় নিয়ে এসে তাদের সেবার মান উন্নয়নে অবদান রাখতেই সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের যাত্রা শুরু বলে জানালেন প্লাটফর্মটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইলমুল হক সজীব।

দেশের সবচে বড় সার্ভিস প্লাটফর্ম তৈরি করার স্বপ্নে যখন পা বাড়ালেন সজীব, তখন পাশে পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়কালীন বন্ধু আদনান ইমতিয়াজ হালিমকে।

আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রকৌশল অনুষদে পড়ালেখা করা দুই বন্ধু ক্যারিয়ার শুরু করেন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানে।  প্রায় বারো বছরের কাজের অভিজ্ঞতা যখন ক্যারিয়ারে, তখন দুজনে মিলে চিন্তা করলেন ক্ষুদ্র পেশাজীবি এবং উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু করার।

সজীব বলছেন, গ্রাহকের সেবায় প্রাইওরিটি প্রদানের মাধ্যমে এগিয়েছে দেশের টেলিযোগাযোগ খাত। তেমনি ভাবে এগিয়ে নেয়া সম্ভব সম্ভাবনাময় সার্ভিস সেক্টরকে, যেখানে সেবার মান এখনো গ্রাহকের বেঞ্চমার্কে পৌছায়নি।

স্টার্ট-আপের শুরু দিকের গল্প বলেন সজীব। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সাথে পড়েছি। ট্রিপল ইর ফার্স্ট ব্যাচ।  আমাদের প্রতিষ্ঠানটির শুরু ২০১৫ এর মাঝামাঝি।  পরের বছর (২০১৬) জানুয়ারিতে বেটা লঞ্চ করি।

সম্প্রতি  কার্যক্রম পরিচালনার দুই বছর পাড় করেছে সেবা এক্সওয়াইজেড।  দুই বছরে অর্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে সজীব বলেন, “আমাদের কেবল শুরু। আমরা যেভাবে স্বপ্ন দেখেছি, সেভাবে এগোচ্ছি। দুবছরে আমরা  অর্জনটাকে এককভাবে নির্ধারন করতে চাই না”।

সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের সহপ্রতিষ্ঠাতা মনে করেন কাজটা কেবল শুরু হয়েছে।  এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। আমরা টার্গটের কাছাকাছি।  এই দুই বছরের অভিজ্ঞতা আমাদের  স্বপ্ন সাজাতে সাহায্য করেছে।  ভবিষ্যত পরিকল্পনায় সেবাকে বছরের শেষে সারা দেশে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বললেন সজীব।

তিনি বলেন, আমরা টেক কম্পানি। আমরা একটা প্লাটফর্ম। আমরা একটা অনলাইন ইআরপি প্রোডাক্ট। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জীবনমান উন্নয়নে সেবা প্লাটফর্মের অবদান উল্লেখ করে সজীব বলেন, একজন পেশাজীবী স্বাভাবিক ভাবে দৈনিক ২০ টা কাজ করে।  যেটা তাদের জীবনযাত্রার মান বদলাতে সাহায্য করছে না।  সেবার মাধ্যমে তারা এখন দৈনিক ১০০ টার বেশি অর্ডার পাচ্ছে যা তাদের জীবনযাত্রার মান বদলাতে সাহায্য করছে।  সেবা ম্যানেজার অ্যাপের মাধ্যমে তার ব্যবসায় সহজেই পরিবর্তন আনতে পারবে।

Leave a comment