বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র মাহে রমজান। গরমে সবার প্রাণ হাঁসফাঁস করছে, এর মধ্যেই চলে এসেছে সিয়াম সাধনার মাস। এরকম আবহাওয়ায় ১৪/১৫ ঘণ্টা রোজা রেখে ইফতারে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা হতে পারে শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর।

স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিশ্চিত করতে হবে সুষম ইফতার মেন্যু। চলুন জেনে নেয়া যাক, ইফতারে খাবার মেন্যু তে কি কি খাবার রাখলে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো যাবে।

Iftar
Iftar

যা যা খাবেনঃ

১। পানি এবং তাজা ফলের জুসঃ গরমে সারাদিন কিছু না খেয়ে থাকার ফলে পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই শরীর কে হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানি এবং প্রাকৃতিক ফলের জুস পান করতে হবে। খেতে পারেন লেবুর শরবত কিংবা কাচা আমের জুস।

২। খেজুরঃ ইফতার মেন্যুতে অবশ্যই খেজুর রাখুন। খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, যা আপনার মাংসপেশী কে করবে সচল এবং আপনাকে দেবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি। ভালো মানের খেজুর পেতে ভিজিট করুন Ramadan Khejur.

৩। কাঁচা ফল এবং সবজিঃ ইফতারে একটি কাঁচাফল এবং সবজি রাখা একটি অবশ্যকীয় বিষয়। লক্ষ্য রাখুন যাতে মেন্যুতে থাকে সবুজ রঙের ফল এবং সবজি। এ ক্ষেত্রে খেতে পারেন পাকা আম এবং শসা।

৪। স্যুপঃ ভেজিটেবল কিংবা বোনলেস চিকেন সূপ হতে পারে আরেকটি স্বাস্থ্যকর আইটেম। এই ওয়েদার এ গরম স্যুপ না ভালো লাগলে, খেয়ে দেখতে পারেন ঠাণ্ডা স্যুপ।

৫। কম তেলে ভাজা ডিম চপঃ যদি ভাজা পোড়া খেতেই হয়, কম তেলে ভেজে খেতে পারেন ডিম চপ। ডিম এ আছে প্রচুর প্রোটিন, যা আপনার শরীর কে করবে শক্তিশালী।

৬। কাঁচা বাদামঃ কাঁচা বাদামে আছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট, পরিমিত পরিমাণ কাঁচা বাদাম খেয়ে দূর করা যেতে পারে সারাদিনের ক্লান্তি।

৭। পেঁপেঃ হজমের জন্য পেঁপে খুব উপকারী। ইফতার শেষ করার আগে খেয়ে নিতে পারেন দুই তিন পিস পেঁপে।

 

যা যা খাবেন নাঃ

১। হালিমঃ হালিমে থাকে ডাল এবং গরুর মাংস। এই দুই উপাদান আঁশ এবং চর্বি তে ভরপুর, তার উপর আছে বিভিন্ন রকম মশলা। যার ফলে সারাদিন রোজা রেখে হালিম খেলে তা হতে পারে আপনার পেটের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

২। অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবারঃ অতিরিক্ত তেল আপনার পরিপাকতন্ত্র কে করবে ক্ষতিগ্রস্ত, বেগুনে থাকা অতিরিক্ত আয়রন, তার সাথে বেসন এবং তেলে পোড়া পিঁয়াজু – সারাদিন রোজা রাখার পর  এ সবই আপনাকে করে ফেলতে পারে পুরোপুরি কাবু।

৩। কারবোনেটেড ড্রিংকসঃ হজমের সমস্যা থেকে বাঁচতে এড়িয়ে চলুন কারবোনেটেড ড্রিঙ্কস। এগুলোতে থাকে প্রচুর অ্যাডেড সুগার।

৪। লবণাক্ত খাবারঃ  লবণাক্ত খাবার খাওয়ার ফলে সোডিয়াম লেভেল এর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে বেশি বেশি পানি তৃষ্ণা পায়। তাই যেসব খাবারে লবনের উপস্থিতি বেশি (যেমনঃ চিপস, লবণ যুক্ত বাদাম ) চেষ্টা করুন সেগুলো পরিহার করতে।

৫। ক্যাফেইনড ড্রিঙ্কসঃ ইফতারে কফি কিংবা চা খেলে আপনার পানি পিপাসা বেড়ে যাবে, এমনকি ভুগতে পারেন ঘুমহীনতায়।

রমজানে ঠিকঠাক ভাবে সব রোজা রাখার জন্য প্রয়োজন সুস্থ থাকা। আর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য ইফতার আইটেম এ মেনে চলুন উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো।

এ রমজানে আপনার জীবন কে আরো সহজ করতে আপনার পাশে আছে দেশের বৃহত্তম অনলাইন সার্ভিস মার্কেট Sheba.xyz অ্যাপ। এখানে বর্তমানে চলছে ওয়াও ফ্ল্যাশ অফার, যেখানে আপনার প্রয়োজনীয় সকল সার্ভিস পাবেন একদম সাশ্রয়ী মূল্যে!

Leave a comment