জেনে নিন, মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবার কিছু সহজ উপায়, যা আপনি চাইলে বাড়িতেই তৈরি করে নিতে পারবেন।

মশা- একটি বাৎসরিক যন্ত্রণা। প্রতি বছর গরম আসলেই মশার উপদ্রব নিয়ে চিন্তিত হয়ে উঠি আমরা সবাই-ই। ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া-এর পাশাপাশি হালের ডেঙ্গু, জিকা ভাইরাস ও চিকুনগুনিয়া- প্রতি বছরই আমাদের করে তুলে আতঙ্কিত। মশারী, কয়েল, অ্যারোসল, মস্কিটো রিপেলেন্ট ক্রিম-এর জন্য ছুটোছুটিতে ব্যাতিব্যাস্ত হয়ে উঠি সবাই। তবুও, অনেকেই শ্বাসকষ্ট অথবা অ্যালার্জি-জনিত কারণে কয়েল, অ্যারোসল, রিপেলেন্ট ক্রিম-এর গন্ধ সহ্য করতে পারেন না। এতো কিছুর মাঝে মশার কামড়ের ঝুঁকি থেকেই যায়। 

প্রতিকারের থেকে প্রতিরোধই উত্তম। আর যারা শ্বাসকষ্ট অথবা অ্যালার্জি-জনিত কারণে কয়েল, অ্যারোসল-এর ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁদের জন্য প্রতিরোধ একটু কঠিনই। 

Mosquito net

তবে আপনি কিছু সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজেই মশার উপদ্রব থেকে নিস্তার পেতে পারেন। চলুন দেখে নিই, এরকমই কিছু টিপস-

১- জোরে ফ্যান চালু রাখুন-

মশারা খুবই হালকা। তাই জোরে ফ্যান চালু রাখলে দেখা যায়, ফ্যানের বাতাসের জন্য ধাক্কায় মশারা ধারেকাছে ভিড়তে পারে না। এই উপায়ে খুব সহজেই একদিকে মশা থেকে পেতে পারেন নিস্তার, অন্যদিকে ঘরও থাকবে ঠান্ডা।

২- হলুদ লাইট বাল্ব-

মশারা হলুদ আলো এড়িয়ে চলে। তাই ঘরের এনার্জি সেভিং বাল্ব-গুলোর উপর সেলোফেন পেপার জড়িয়ে দিন। খেয়াল করে দেখবেন, ঘরে মশার উপদ্রব বেশ কমে গিয়েছে।

৩- লেবু ও লবঙ্গের ব্যবহার-

একটি লেবু অর্ধেক করে কেটে নিন। এবার কাটা লেবুটির ভেতরের অংশে কয়েকটি লবঙ্গ এমনভাবে গেঁথে দিন, যেন লবঙ্গের মাথাটি বাইরের দিকে বের হয়ে থাকে। এবার লবঙ্গ গাঁথা লেবুটি একটি প্লেটে করে ঘরের এক কর্নারে রেখে দিন। খেয়াল করে দেখবে, ঘরে মশার উপদ্রব একদম নেই বললেই চলে। চাইলে লবঙ্গ গাঁথা লেবু জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে মশা ঘরেই আসবে না।

৪- পুদিনা পাতার পানি-

একটি ছোট বাটিতে পানি নিয়ে তাতে ৪-৫ গোছা পুদিনা পাতা দিয়ে ঘরের কোণায় রেখে দিন। এতে ঘরে মশার উপদ্রব অনেকটাই কমে যাবে। খেয়াল রাখবেন, পুদিনা ভেজানো পানি ২-৩ দিন পর পর পরিবর্তন করতে হবে। 

৫- কর্পূর ভেজানো পানি- 

যেকোন ফার্মেসির দোকানে খুঁজলেই কর্পূর ট্যাবলেট পাবেন। এক বাটি পানিতে ৫০ গ্রামের একটি কর্পূর ট্যাবলেট ভিজিয়ে ঘরের এক কোণায় রেখে দিন। মশা কর্পূরের গন্ধ একদমই সহ্য করতে পারে না। তাই আপনার ঘর থাকবে পুরোপুরি মশামুক্ত। এ পদ্ধতিতে ২ দিন পরপর পানি পরিবর্তন করে নেয়া উত্তম।

৬- চা-পাতা ও নিম পাতার ধোঁয়া- 

যাঁদের মশার কয়েল অথবা অ্যারোসল-এর ধোঁয়ায় অ্যালার্জি আছে, তাঁদের জন্য এ পদ্ধতি সত্যিই কার্যকরী। এ পদ্ধতির জন্য, চা বানানোর পর ব্যবহৃত পাতা ফেলে না দিয়ে জমিয়ে রাখুন। ব্যবহৃত চা-পাতা রোদে শুকিয়ে নিন। এবার শুকনো চা-পাতার সাথে কয়েকটি নিম পাতা দিয়ে তা পুড়িয়ে সারা ঘরময় ধোঁয়া ছড়িয়ে দিন। এ ধোঁয়ার ফলে মশা ঘরে আসতে পারবেন না, আপনিও পাবেন মশার উপদ্রব থেকে নিস্তার।

৭- মশা প্রতিরোধক নেট- 

সর্বোপরি, ঘরের দরজা-জানালায় মশা প্রতিরোধক নেট লাগিয়ে নেয়া মশা থেকে রক্ষা পাবার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী। সন্ধ্যার আগমুহূর্তে এবং ভোরের দিকে মশার আনাগোনা বেড়ে যায়। মনে রাখবেন- চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাস-এর জন্য দায়ী এডিস মশা সাধারণত এ সময়গুলোতেই বেশি কামড়ায়। তাই খেয়াল করে এ সময়গুলোতে নেট লাগানো দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে সচেষ্ট থাকুন।

Sheba.xyz থেকেই পাবেন, দরজা-জানালায় মশা প্রতিরোধক নেট লাগানোর সার্ভিস। আজই অর্ডার করুন– ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, জিকা ভাইরাস, ম্যালেরিয়া অথবা ফাইলেরিয়া থেকে সুরক্ষিত থাকুন।

Leave a comment