বাংলাদেশে আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম “বৈসাবি উৎসব”

“বৈসাবি” শব্দটি এসেছে চাকমা, মারমা এবং ত্রিপুরা আদিবাসীদের বর্ষবরণ উৎসবের নামের প্রথম অক্ষরে। যেমনঃ চাকমাদের “বৈসু”, মারমাদের “সাংগ্রাই” এবং ত্রিপুরাদের “বিহু”- তিন সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ উৎসবের তিন নাম।

আদিবাসীদের উৎসব হলেও বৈসাবি উদযাপিত সার্বজনীনভাবে। পাহাড়ের সবচেয়ে বড় এই আয়োজনে রঙিন হয়ে উঠে পাহাড়-অঞ্চল।

উৎসবটির প্রথম দিনটির নাম “ফুলবিজু”, দ্বিতীয় দিন “মুলবিজু” এবং তৃতীয় দিনটি “গুজাপুজা” যা বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটি।

উৎসবের প্রথম দিন নদীতে ফুল ভাসিয়ে তাদের শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ঐশ্বরিক আশীর্বাদ কামনা করে স্নান করে।

বৈসাবির অন্যতম আর্কষণ “জলকেলি উৎসব” বা “পানি খেলা”।

বৈসাবি উৎসবে সাজেক ভ্যালীতে

বৈসাবি উৎসব উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসুন সাজেক ভ্যালী থেকে। 

সাজেক একটি বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ। সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার অন্তর্গত।

বৈসাবি উৎসবকে সামনে রেখে Avijatrik দিচ্ছে ৩ রাত ও ২ দিন সাজেক ভ্যালীতে ভ্রমন প্যাকেজ ৬,৫০০ টাকায়।

রওনা ও ফিরে আসার স্থানঃ
সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল

রওনা দেবার সময়ঃ
১১ এপ্রিল – রাত ১০ঃ০০

যা যা অন্তর্ভুক্তঃ

  • ইকো রিসোর্টে ১ রাত অবস্থান
  • 4×4 ল্যান্ড ক্রুজারে পাহাড়ী রাস্তায় এডভেঞ্চেরাস রাইড
  • ভ্রমণ গাইড
  • প্রবেশে মূল্য
  • গন্তব্য স্থানে সব পরিবহন
  • ভ্রমণের সময় খাবার

যা যা অন্তর্ভুক্ত নেইঃ

  • গাইড সার্ভিস
  • ড্রাইভার সার্ভিস
  • ব্যক্তিগত খরচ
  • রুম সার্ভিস

রিসোর্টের বিবরণঃ  ইকো হিলটপ রিসোর্ট সাজেক ভ্যালীর উপরে নির্মিত একটি কাঠের বিলাসবহুল লজ। ঠিক একদম মেঘের মাঝে, যেখানে থেকে আপনি দেখতে পারবেন উপত্যকার অপরুপ সৌন্দর্য। এছাড়াও ইকো হিলটপ রিসোর্ট আপনি পাবেন বিলাসীতার অনুভূতি।

প্রথম রাত উপত্যকায় যাত্রাঃ


সকাল ৯ঃ৩০-এ হাইওয়ে নন-এ/সি হাইনো চেয়ার কোচ বাসের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যাত্রা শুরু হবে। খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছাবে সকাল ৬ টা নাগাদ।

প্রথম দিন মেঘের উপত্যকায়ঃ



সকাল ৭ঃ০০ টায়ঃ খাগড়াছড়ি শহরে স্থানীয় রেস্টুরেন্টে প্রাতঃরাশ পরিবেশন করা হবে। ব্রেকফাস্টের পরে আমাদের গাইড আপনাকে 4 × 4 ল্যান্ড ক্রুজার বা চান্দের গাড়ি করে নিয়ে যাবে।

সকাল ৭ঃ৩০ টায়ঃ চান্দের গাড়ি করে সাজেক ভ্যালীতে যাত্রা। বাঘাইছড়ি পৌঁছাতে ২ ঘণ্টা সময় লাগবে, যেখানে সেনাবাহিনী সাজেক ভ্যালিতে গাড়ি চালাবে। বাঘাইছড়ি থেকে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য আরও ২ ঘণ্টা সময় লাগবে।

সকাল ১০ঃ০০ টায়ঃ পথে হাজাছড়া জলপ্রপাত পরিদর্শন করা হবে।

দুপর ১ঃ০০ টায়ঃ সাজেক ভ্যালীর ইকো-রিসোর্টে প্রবেশ করবেন।

দুপুর ২ঃ০০টায়ঃ সাজেক ভ্যালীতে স্ট্যান্ডার্ড বাঙ্গালী মেনু সহ স্থানীয় রেস্টুরেন্টে দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হবে।

বিকেল ৪ঃ০০ টায়ঃ কংলাক পারা সফর। এটি সাজেক ভ্যালীর সর্বোচ্চ  চূড়া। কংলাক পারার শীর্ষে একটি ছোট গ্রাম আছে।

সন্ধ্যা ৬ঃ০০ টায়ঃ সাজেকের হেলিপ্যাড থেকে সূর্যাস্ত উপভোগ।

রাত ৯ঃ০০ টায়ঃ চিকেন বারবিকিউ, পরোটা এবং পানীয়-এর সাথে ডিনার প্রদান করা হবে।

দ্বিতীয় দিন আলটিলা গুহা ও রিসং জলপ্রপাতেঃ

 

ইকো রিসোর্ট থেকে ভ্যালীতে মেঘের মাঝে ভোরের সকালে দেখুন।

সকাল ৮ঃ০০ টায়ঃ খিচুরী ও ডিম দিয়ে ব্রেকফাস্ট পরিবেশন করা হবে।

সকাল ৯ঃ০০ টায়ঃ চান্দের গাড়ি করে খাগড়াছড়ি শহরে যাত্রা শুরু।

দুপুর ১ঃ০০ টায়ঃ খাগড়াছড়ি শহরে পৌঁছে স্ট্যান্ডার্ড বাঙ্গালী মেনু দিয়ে লাঞ্চ।

লাঞ্চের পর, গাইড আপনাকে গ্রামে নিয়ে যাবে যেখানে আপনি বৈসাবি উৎসব দেখতে পারবেন। পহেলা বৈশাখ উদযাপনে আপনি তাদের সাথে যোগ দিতে পারেন।

দুপুর ৩ঃ০০ টায়ঃ আলটিলা গুহা ও রিসং জলপ্রপাত পরিদর্শন। এর জন্য আপনাকে দেওয়া হবে মশাল।

দুপুর ৪ঃ০০ টায়ঃ খাগড়াছড়ি শহরে স্থানীয় রেস্তোরাঁয় রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে।

রাত ৯ঃ০০ টায়ঃ ঢাকার উদ্দেশ্যে হাইওয়ে নন-এ/সি হাইনো চেয়ার কোচে (শ্যামলী, শান্তি পরিবহনের) রওনা দেওয়া হবে।

শুধুমাত্র Sheba.xyz-তে Avijatrik-এর এই ৬,৫০০ টাকার “বৈসাবি উৎসব – সাজেক ভ্যালী” প্যাকেজটি আপনারা পাবেন মাত্র ৫,০০০ টাকায় ।  

আসন সংখ্যা সীমিত, তাই দেরি না করে আজই বুক করে ফেলুন এবং ঘুরে আসুন মেঘের উপত্যকা সাজেক থেকে।

 

Leave a comment