‘বাবা’ – শব্দটি হতে পারে দুই অক্ষরের, কিন্তু এর বিশালতা আকাশ কিংবা সমুদ্রের থেকেও বেশি। জানতে অথবা অজান্তে আমাদের জীবনের প্রথম সুপারহিরো কিন্তু এই বাবাই। রাস্তা পার হতে শেখা কিংবা ক্রিকেট ব্যাট চালানো, সবকিছুর হাতেখড়ি বাবার কাছেই। শৈশব থেকে শুরু করে কৈশোর এমনকি যৌবনেও, যখনই সন্তান কোন বিপদের সম্মুখীন হয়,সে আশ্রয় খুঁজে পায় বাবা ডাকের মাঝে।

দু:খজনক হলেও সত্য, আমাদের দেশে মা দিবস যতটা ঘটা করে পালন করা হয়, বাবা দিবসের বেলায় সেটা হয়না। অবশ্য এটা অনেকটা বাবাদের জীবনের মতই। বাবারা সারাজীবন হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন কিন্তু তারা কখনো মুখ ফুটে তাদের পরিশ্রম এবং কষ্টের কথা বলেন না। অনেকটা আড়ালেই রয়ে যায় পরিবার এবং সন্তানের জন্য তাদের উৎসর্গ গুলো।

পৃথিবীর সকল বাবার প্রতি শ্রদ্ধা  এবং কৃতজ্ঞতা জানাতেই উনিশ শতকের প্রথম ভাগে শুরু হয়েছিলো বাবা দিবসের প্রচলন। কিন্তু বাবা দিবস সত্যিকার অর্থে  জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিংশ শতাব্দী তে এসে। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার দিনটিকে বাবা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

সন্তান হিসেবে বেশিরভাগ মানুষের জন্য মাকে কোনো একটি অনুভূতি প্রকাশ করা যতটা সহজ, বাবার ক্ষেত্রে সেটা ঠিক ততটাই কঠিন। আপনি আপনার বাবাকে অনেক ভালোবাসেন, মুখ ফুটে শেষ কবে এই কথাটি আপনার বাবাকে বলেছেন? হয়তোবা কখনোই বলা হয়নি। এই বাবা দিবসে ছোট্ট এই কথাটি বলেই বাবাকে একটি স্মরনীয় দিন উপহার দিয়ে দিতে পারেন।

সারাদিন কাজ করে এসে বাবারা ক্লান্ত দেহে ঘরে ফিরে এসে যদি সন্তানকেই কাছে না পান, তাহলে তাদের সারাদিনের কাজ করাটাই বোধ হয় বৃথা মনে হয়। এই বাবা দিবসে খেয়াল রাখুন বাবা কখন ঘরে ফিরছেন, তার সাথে বসে কিছুক্ষণ সময় কাটান, করতে পারেন ছোটবেলার স্মৃতিচারণ। খুব বেশি কিছু চায়না বাবারা, আজকে হয়তো এই ৩০ মিনিট সময় বাবাকে না দেয়ার কারণে পরে একসময় যেয়ে আক্ষেপ করবেন।

বাবা দিবসে বাবাকে ছোট্ট একটা উপহার দিয়ে দিতে পারেন। তা হতে পারে একটা চিঠি কিংবা হাতঘড়ি। অথবা চলে যেতে পারেন কোন এক রেস্টুরেন্টে, দু’জন মিলে ট্রাই করতে পারেন বাবার পছন্দের খাবার আইটেম গুলো।

‘যেদিন আমি থাকবোনা

কি করবি রে বোকা

এ যে রক্তের সাথে রক্তের টান

স্বার্থের  অনেক উর্ধ্বে’

বাবা- জীবনের সবথেকে বড় আশ্রয়স্থল। যতদিন বাবা আছেন, আপনার মাথার উপরে আকাশ আছে। এই বাবা দিবস থেকে আসুন, আমরা প্রত্যেকটি সন্তান বাবাকে একটু বেশি সময় দেই, বাবার মুখে হাসি ফোটানোর জন্য যা কিছু করা দরকার সেটাই করি।

বাবা দিবস কে সামনে রেখে sheba.xyz বিউটি টিম নিয়ে এসেছে জেন্টস বিউটি স্যালন। মেয়েদের পাশাপাশি, এখন ছেলেরাও ঘরে বসে উপভোগ করতে পারবেন যে কোনো স্যালন সার্ভিস।

আসছে ১৬ই জুন ঘরে বসেই ডেকে ফেলতে পারেন জেন্টস স্যালন সার্ভিস এবং বাবাকে দিতে পারবেন পছন্দমতো হেয়ার কাট এমনকি ফেসিয়াল ও। ১৬-১৮ জুনের মধ্যে অর্ডারকারী ১০০ জন পাচ্ছেন তাদের বাবার জন্য ফ্রি হেয়ার কাট সার্ভিস!

সারাাজীবন তো বাবাই আপনাকে হেয়ার স্যালনে নিয়ে হেয়ার কাট দিয়ে দিলেন, এই বাবা দিবসে না হয় আপনিই আপনার বাবাকে সারপ্রাইজ দিলেন?

বাবা দিবসে sheba.xyz এর পক্ষ থেকে বাবাদের জন্য রইলো অসংখ্য শুভকামনা। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল বাবা।

Leave a comment