বর্তমানে গাড়ি আর কোনো আভিজাত্যের বস্তু হয়ে নেই, এটি এখন একটি প্রয়োজনীয় দরকার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনদিন পাবলিক ট্রান্সপোর্ট থেকে মানুষের দৃষ্টি পড়ছে প্রাইভেট কার অথবা বাইকে, ঘরে ঘরে বাড়ছে গাড়ির চাহিদা।

ফলে প্রতিদিনই রাস্তায় নামছে শত শত নতুন গাড়ি। বিজ্ঞানের এই আবিষ্কারের প্রয়োজন এবং চাহিদা থাকবে আজীবন।  

আর যতদিন গাড়ি থাকবে ততদিনই এর সাথে থাকবে বিভিন্ন টেকনিক্যাল সমস্যা। তাই এ সমস্যাগুলো এড়িয়ে আপনার গাড়ি থেকে বেস্ট সার্ভিস পেতে গাড়ির নিয়মিত যত্ন নেওয়া একান্তই আবশ্যক।

নিয়মিত গাড়ির রক্ষনাবেক্ষন এবং যত্ন নিলে বাড়বে গাড়ির আয়ু, একই সাথে কমে যাবে ভবিষ্যতে গাড়ির বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ।

ফলে অনেক অতিরিক্ত খরচ থেকে বেঁচে যাবেন গাড়ির মালিক। তাই গাড়ি সম্পর্কিত কিছু টিপস জেনে রাখা ভালো যেন গাড়িকে সুস্থ রাখা যায়। চলুন আজকের ব্লগ থেকে জেনে নিই এমনই কয়েকটি টিপস।

ইঞ্জিনের তেল নিয়মিত বদলান

ইঞ্জিন সুস্থ থাকে তেলের উপর নির্ভর করে। আর তাই আপনার ইঞ্জিনকে সচল রাখতে প্রতি ৩ মাস অন্তর অথবা ৩০০০ মাইল চালানোর পর গাড়ির তেল বদলাতে হবে।

কিন্তু কখনও কখনও এর বাইরেও কিছু কাজ করতে হয়। ঢাকা শহরের ধুলোবালিতে এবং জ্যামের মধ্যে চলা সব গাড়ির অবস্থায় অনেক নাজেহাল হয়ে যায়, তাই তেল স্বাভাবিক এর থেকে একটু বেশিবার বদলাতে হবে।

তেলের পাশাপাশি এর ফিল্টার, স্পার্ক প্লাগ এবং স্পার্ক প্লাগ ওয়্যার বদলানোর কাজটাও করতে হবে একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর।

 

ব্যাটারি নিয়মিত চেক করুন

গাড়ি চালু করতে যে শক্তির প্রয়োজন তার পুরোটাই আসে এর ব্যাটারি থেকে। তাই গাড়িকে সচল রাখতে এর ব্যাটারিকে সচল রাখার কোনো বিকল্প নেই।

সবসময় খেয়াল রাখতে হবে ব্যাটারিকে পরিষ্কার রাখার দিকে এবং দেখতে হবে যেন এটি না কাঁপে।

ব্যাটারির পানির লেভেলও চেক করতে হবে নিয়মিত এবং একই সাথে সংযোগ স্থানে ঠিকভাবে সবকিছু সংযুক্ত যাচ্ছে কিনা সেদিকেও সতর্ক থাকা উচিত।

 

এমিশন সিস্টেম এর পরিচর্যা করুন

গাড়ির প্যাসেঞ্জার কেবিন, ইঞ্জিন সহ ভেতরের সবধরণের গ্যাস নিঃসৃত করার কাজটি করে থাকে গাড়ির এমিশন সিস্টেম।

গাড়ির নিচে থাকে এই অংশটি কিন্তু সবচেয়ে বেশি কষ্ট এই অংশটিকেই বহন করতে হয়। তাই প্রতিবছর অন্তত একবার গাড়ির এমিশন সিস্টেমটি এক্সপার্টদের দিয়ে চেক আপ করানো উচিত।  

 

ব্রেক সিস্টেমে খেয়াল রাখুন

গাড়ি থামানোর কাজ ব্রেকের আর এই ব্রেক আসে ব্রেক প্যাডে হওয়া ঘর্ষণ থেকে। এই ব্রেকে একটু এদিক সেদিক হলেই ঘটে যেতে পারে বিশাল দুর্ঘটনা।

গাড়ির এই অংশটিতে কখন একজন মেকানিকের দৃষ্টি লাগবে তার কিছু লক্ষণ ব্রেক আগে থেকেই বোঝাতে শুরু করে।

যখন দেখবেন আপনার গাড়ির প্যাডেল স্পঞ্জের মতো আচরণ করছে তখনি বুঝে নেবেন আপনার হাইড্রোলিক সিস্টেমে বাতাস ঢুকেছে। এছাড়াও ব্রেকে লাল বাতির ওয়ার্নিং জ্বলা মানে আপনার ব্রেক সিস্টেমে ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।

যখনই দেখবেন গাড়ি ব্রেক করলে বিভিন্ন ধরনের আওয়াজ হচ্ছে তখনি বুঝে নেবেন আপনার ব্রেক প্যাড বদল করার সময় হয়ে গেছে।

এসব ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে আপনার গাড়ির সাথে আসা ম্যানুয়াল পড়ে জেনে নিন কিভাবে আপনার ব্রেক সিস্টেমের যত্ন নেবেন এবং কত সময় অন্তর অন্তর তা চেক আপের জন্য এক্সপার্টদের কাছে নিয়ে যাবেন।

তবে বছরে অন্তত একটিবার গাড়ির ব্রেক সিস্টেম এক্সপার্টদের দ্বারা চেক আপ করিয়ে নেওয়াই ভালো।

car repair, car wash, car maintenance, car tips

গাড়ির এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের খেয়াল রাখুন

গাড়ি চালানোর এক্সপেরিয়েন্স ভালো কিংবা মন্দ করার একটা বিশাল অংশ নির্ভর করে করে গাড়ির এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে।

গাড়ির ভেতরের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকবে নাকি গরম তার পুরোটারই দায়িত্ব থাকে এই অংশটির উপর।

গাড়ির এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম কাজ করে রেফ্রিজারেটরের মত। তাই যখনি দেখবেন গাড়ির ভেতরের তাপমাত্রা আপনার আশানরুপ থাকছে না, বুঝে নিন যে এর এয়ার কন্ডিশনিং ডিপার্টমেন্টে ঝামেলা হয়েছে।

তাই এমতাবস্থায় গাড়ির এক্সপার্টের শরণাপন্ন হওয়াই শ্রেয়।

 

গাড়ির কুলিং সিস্টেম চেক আপ করিয়ে নিন  

গাড়ির কুলিং সিস্টেমের কাজ হল গাড়ির ইঞ্জিনকে সুষ্ঠূ তাপমাত্রায় রাখা। তাই এই অংশটিকে নিয়মিত এক্সপার্টের কাছে দেখানো গাড়ির জন্য ভালো।

উপরের প্রত্যেকটি টিপস নিয়মিত অনুসরণ করলেই গাড়িকে সুস্থ রাখা এবং বড় ধরণের খরচের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

তবে সময় বাঁচিয়ে একটি ওয়ার্কশপে কিংবা গ্যারেজে গাড়ি নিয়ে যেয়ে চেকআপ করানো অনেকের জন্য দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

তাই আপনি যদি তাদের মধ্যে থেকে একজন হন তাহলে চিন্তার যার কোনো কারণই নেই।

এখন দেশের বৃহত্তম অনলাইন সার্ভিস মার্কেট Sheba.xyz অ্যাপেই আপনি খুঁজে নিতে পারেন আপনার গাড়ির রক্ষনাবেক্ষনের জন্য দরকারি সব সমাধান।

সার্ভিস বুকিং দিলেই বাড়িতে পৌঁছে যাবে ভেরিফাইড এবং দক্ষ সার্ভিস প্রোভাইডার গাড়ির সব সমস্যার সমাধান সহ।

 

Leave a comment