প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সার্ভিস সেক্টরের নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আরো অবদান রাখার সুযোগ আছে বলে মনে করেন বিউটি সার্ভিসের একজন উদ্যোক্তা শিবানী চক্রবর্ত্তী।

উন্নয়ন সংস্থায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকা শিবানীর স্বপ্ন ছিল একজন উদ্যোক্তা হিসেবে যেনো সমাজের নারীদের কল্যানে কিছু করতে পারেন। ধ্রুবতারা বিউটি কেয়ার অ্যান্ড সার্ভিসের মাধ্যমে সেই স্বপ্নজাল বুনেছেন সেবা ডট এক্সওয়াইজেডের সাথে।

সম্প্রতি সেবা স্বপ্ন বুননের সাথে আলাপচারিতায় ধ্রুবতারা বিউটি কেয়ার অ্যান্ড সার্ভিসের প্রধান নির্বাহী শিবানী চক্রবর্ত্তী তুলে ধরেন  সেবা প্লাটফর্মের সাথে তার  উদ্যোক্তা হবার গল্প।

শিবানী বলেন, “বেসিক্যালি আমি ডেভেলপমেন্ট সেক্টরে কাজ করতে গিয়ে কমিউনিটির জন্য টেকসই কিছু করার জন্য স্বপ্ন দেখতাম। উন্নয়ন সংস্থার হয়ে কাজ করেছি বহু বছর ঢাকার বাইরে ।  পরিবারে সময় দিতে  চলে আসি ঢাকায়।  ঘরে বসে কিছু করার যখন ভাবছি, তথনই আমার ছেলে অমিয় প্লাবন চক্রবর্তীর মাধ্যমে সেবার সাথে পরিচয়

নারীদের উন্নয়নে অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর প্রচেষ্টায় থাকা শিবানী বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে। স্বপ্নের প্লাটফর্ম হিসেবে সেবাকে পেয়েছি আমি।  সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তোলাটাই আমার কাজ। আমার কাছে অন্যান্য  একশোটা পার্লার  থেকে আমার কাছে  কেনো আসবে।

সেবার সাথে নিয়মিত আলোচনা হতো। আমার প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নেবার জন্য যে যে সাপোর্ট লাগবে, সেগুলো নিয়ে।  আমার উদ্যোগ নিয়ে মানুষ যাতে গর্ব করতে পারে।  আমার ধ্রুবতারা বিউটি সার্ভিস আমার ভালোবাসা , আমার স্বপ্ন ।

“আমার আইডিয়াকে এগিয়ে নিতে সেবার অবদান অনেক”

শিবানী বলেন, যেসব পারলারের মেয়েরা মাসে চার-পাঁচ হাজার টাকা আয় করতো, তারা এখন মাসে বিশ হাজার টাকার উপরে  উপার্জন করে। পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহনে তাদের অংশগ্রহনও বেড়েছে। তারা  এখন স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারে।

সার্ভিস সেক্টরের এই উদ্যোক্তা মনে করেন, কাস্টমারের বিশ্বাসের যায়গা অর্জনই যে কোন কাজের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। আমরা কাজ করে যাচ্ছি।  আমাদের পোডাক্ট সব বাইরের (বিদেশী)।  আমরা মেয়েদের স্বপ্নকে সাজাই।  বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে প্রায় মাসে এক লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন হয়।

নতুন হিসেবে ভালো সারা ফেলেছে। প্রত্যেকে পরামর্শও চাচ্ছে।  এটার বিশেষত্ব হলো, তুলে ধরার। কাস্টমারের ফিডব্যাক দেয়ার সুযোগ আছে। নির্ভরযোগ্যতা।

শিবানী স্বপ্ন দেখেন তার পার্লারের সাব সেন্টার থাকবে রাজধানীজুড়ে ।  তিনি বলেন, মানুষের কাছে আরো দ্রুত পৌছাতে চাই। আমাদের যে পরিচিত তৈরি হয়েছে সেটা যেনো দীর্ঘ মেয়াদী হয়। যখন একটা মেয়ে সাবলম্বী হয়, সে সিদ্ধান্ত গ্রহন নিতে পারে। আর্নিং সোর্স এখন আমাদের মেয়েদের পার্মানেন্ট। আমার মেয়েরাই আমার প্রতিষ্ঠান।

 

Leave a comment